মাহমুদ খান।।
আজ ১ লা সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী । ১৯৭৮ সালের এই দিনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দলটি দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক শক্তি এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ হিসেবে জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা, র্যালি ও শোভাযাত্রা। ১ লা সেপ্টেম্বর দেশের প্রতিটি জেলা ও মহানগরে আলোচনা এবং র্যালির আয়োজন করা হয়েছে পাশাপাশি ৩রা সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলা এবং পৌর শহরে আলোচনা সভা এবং বর্ণাঢ্য রেলীর নির্দেশনা প্রদান করেছে দলটি।
বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, এ দিনটি শুধু স্মরণ নয়; বরং গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নতুন করে শপথ নেওয়ার দিন। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বলেন, “৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমরা অঙ্গীকার করছি—গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির লড়াই চলবে।”
বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে সরকার পরিচালনা করে দলটি শিক্ষা, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও অবকাঠামো খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তবে দীর্ঘ রাজনৈতিক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে বর্তমানে দলটি গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নিয়োজিত রয়েছে। বিশেষ করে গত আওয়ামী দু:সাশনে শত সহস্র নেতাকর্মীদের হত্যা, গুম, জেল, জরিমানা ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনে দলের নেতাকর্মীদের দমিয়ে রাখা যায়নি। তাছাড়া ২৪ শের জুলাই আগস্ট এর ছাত্র জনতার আন্দোলনে এই দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের স্বতঃস্পুর্ত অংশগ্রহণ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী দলীয় নেতা-কর্মীদের নতুন করে উজ্জীবিত করবে এবং দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করবে।।